আধুনিক বিজ্ঞানের জনক এরিস্টটলের জীবনী ও কিছু মূল্যবান তথ্য

এরিস্টটল এর জিবনি

এরিস্টটল এর জিবনি! (প্রাচীন গ্রিক ভাষায় এরিস্টটল কে বলা হয় আরিস্তোতেল্যাস্) তিনি একাধারে (খ্রিষ্টপূর্ব ৩৮৪ – ৭ই মার্চ, খ্রিষ্টপূর্ব ৩২২) বিশ্ববিখ্যাত গ্রিক বিজ্ঞানী ও দার্শনিক বলা হত।

হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন অবশ্যই ভালো আছেন। তো আজকের পোস্টটি নিয়ে আসলাম আমাদের বিখ্যাত বিজ্ঞানী এরিস্টটল এর সম্পর্কে আজকের পোস্টটিতে জানাবো এরিস্টটলের জন্ম কোথায়? এবং জীবনে তিনি কি কি করেছেন? আর তার অসাধারণ কীর্তি এবং বৈজ্ঞানিক ধারা সম্পর্কে আমাদের তিনি কি ধারণা দিয়ে দিতে চেয়েছেন। তা জানাবো আজকের পোস্টটিতে তাই বন্ধুরা স্কিপ না করে পুরো পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন আর বিজ্ঞানী সম্পর্কে কিছু তথ্য জানুন।

বিখ্যাত বিজ্ঞানী অ্যারিস্টোটল কে প্রাণিবিজ্ঞানের জনক বলা হয়। এছাড়া প্লেটোর সাথে যৌথভাবে তাঁকে “পশ্চিমা দর্শনের জনক” বলে অভিহিত করা হয়েছে ।

যুগে ছিলেন প্রাচীন দর্শন। আর অঞ্চলে ছিলেন পশ্চিমা দর্শন ।ধারায় ছিলেন পেরিপ্যাটেটিক দার্শনিক ধারাকে উদ্বুদ্ধ করেন এবং এরিস্টটলবাদ এর জন্ম দেন এরিস্টোটল। আর এরিস্টটলের আগ্রহ ছিল রাজনীতি, অধিবিদ্যা, বিজ্ঞান, যুক্তিবিদ্যা, নীতিবিদ্যা।

অ্যারিস্টোটল: গোল্ডেন ম্যান, কারণ, যুক্তি, জীববিজ্ঞান, অনুরাগভাবগুরু হিসাবে এরিস্টোটল পারমেনাইডিস, সক্রেটিস, প্লেটো, হেরাক্লিটাস ভাবশিষ্য।

এরিস্টটলের জীবনী কাহিনী সম্পর্কে অল্পই জানা গেছে। তাঁর শৈশবেই পিতার নাম ছিল নিকোমেকাস মারা যাওয়ার পর অভিভাবক হিসাবে লালন পালন করেন প্রোক্সেনাস । ১৭ বা ১৮ বছর বয়সে তিনি এথেন্সে প্লেটোর একাডেমিতে যোগ দেন সেখানেই শুরু হয় তার শিক্ষা জীবন এবং ৩৭ বছর বয়স পর্যন্ত সেখানে পড়াশোনা করেন এরিস্টটল।

এরিস্টটল যেসব বিষয়ের উপর তিনি লিখতে ভালবাসেন যেমন পদার্থবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, প্রাণিবিজ্ঞান, অধিবিদ্যা, যুক্তিবিদ্যা, মৃত্তিকা বিদ্যা, নীতিশাস্ত্র, নন্দনতত্ত্ব, কবিতা, সমাজবিজ্ঞান, মঞ্চনাটক, সঙ্গীত, মনোবিজ্ঞান, ভাষাবিজ্ঞান, অর্থনীতি, রীতি বিজ্ঞান, রাজনীতি ও সরকার নিয়ে আলোচনা রয়েছে, আরো ইত্যাদি বিষয় নিয়ে লিখেছেন। যেগুলো নিয়ে পশ্চিমা দর্শনের প্রথম বুদ্ধিবৃত্তিক ও বুদ্ধি চর্চার ব্যবস্থা গঠিত হয় ।প্লেটোর মৃত্যুর কিছুদিন পর এস্টটল এথেন্স থেকে ফিরে আসেন এস্টেটল।

অ্যারিস্টটল ও আলেকজান্ডার

এস্টটল মেসিডোনের দ্বিতীয় ফিলিপের অনুরোধে, স্বীকার করে, তিনি খ্রিস্টপূর্ব ৩৪৩ অব্দ থেকে মহান আলেকজান্ডারকে শিক্ষাদান করতে শুরু করেন। আলেকজান্ডারকে শিক্ষাদান শুরু করতে গিয়ে এরিস্টটল অনেক সুবিধা লাভ করেন। তিনি লাইসিয়ামে একটি গ্রন্থাগার বা লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা করেন । আলেকজান্ডারের তখন ৫ বছর বয়সী ছিল। আলেকজান্ডারই এরিস্টটলের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তীকালে বিশাল খ্যাতিলাভ করেছিলেন। ধারণা করা হয় এরিস্টটল মাত্র পাঁচ বছর ধরে আলেকজান্ডারকে শিক্ষাদান করেছিলেন।(এরিস্টটল এর জিবনি ও প্লেটোর জিবনি)

অ্যারিস্টটলে আলেকজান্ডারের সম্বন্ধ ঠিক কিরূপ ছিল তা ভালো করে জানা যায়নি । কেউ কেউ মনে করেন যে, অ্যারিস্টটল আলেকজান্ডারকে প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়েছিল যেমন (B. Russell : A History of Western Philosophy; এর পেস প্রায় 160) লিখিত আছে রাজা ফিলিপ এবং আলেকজান্ডার উভয়েই অ্যারিস প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা পােষণ করতেন।

বন্ধুরা এই ছিল বিখ্যাত বিজ্ঞানী সম্পর্কে কিছু মূল্যবান জানা অজানা তথ্য। আর বন্ধুরা আপনারা যদি এরকমই জানা অজানা তথ্য বা নিউজ সম্পর্কে জানতে চান প্রতিনিয়ত তাহলে আমার দের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top