ঔষুধ হিসেবে জিরার উপকারিতা

জিরার উপকারিতা

জিরার উপকারিতা! জিরা হলো একটি বিরুৎ প্রজাতির উদ্ভিদ। এটি সাধারনত গোলাপি ও সাদা রঙ্গের হয়ে থাকে। জিরার বৈঙ্গানিক নাম হলোঃ Cuminum Cyminum ইংরেজি নাম হলোঃ Cumin। আর স্থানীয় নাম হলো জিরা । এটিকে চাষাবাদ করা হয় এটি দোআঁষ মাটিতে চাষ করা হয়।

জিরার বিবরণ

জিরা হলো একটি বিরৎ প্রজাতির উদ্ভিদ । এটি সাধারনত সাদা বা গোলাপি রঙ্গের ছোট ছোট ফুলের হয়ে থাকে। এটি প্রায় ৩০ থেকে ৫০ সেমি বা ১২ থেকে ২০ ইঞ্চি লম্বা হয়ে থাকে।

গাছটি এক প্রকার বর্ষজীবি উদ্ভিদ হয়ে থাকে।  এরা কান্ডের দিক থেকে দেখতে গেলে এরা সাধারনত সরু হয় , রোমহীন হয় ও শাখানিত্ব এবং ২০-৩০ সেমি বা ৮-১২ ইঞ্চি লম্বা ও ৩-৫ সেমি ব্যাসবিশিষ্ট হয়ে থাকে। প্রতিটি শাখা সমান সমান উচ্চতার হয়ে থাকে এজন্য এদের পত্রাচ্ছন্দ সুষম হয়ে থাকে। প্রতিটি শাখায় দুই থেকে তিনটি করে উপশাখা রয়েছে। জিরার উপকারিতা

এদের পাতা ৫-১০ সেমি লম্বা পিনেট অথবা বাই পিনেট হয়ে থাকে। এদের কান্ড গুলোর রং ধূসর বা হালকা কালচে সবাজ হয়ে থাকে।  এদের ফল পার্শ্বীয় ভাবে ডিম্বাকৃত হয়ে থাকে। জিরার প্রতিটি পুষ্প ছন্দে পাঁচ থেকে সাতটি পুষ্প থাকে। এদের ফলগুলো ৪-৫ মি.মি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এদের প্রতিটি গর্ভ পত্রে একটি করে বীজ থাকে। এটি দ্বিগর্ভপত্রী হয়ে থাকে। জিরার  বীজ দেখতে অনেকটা কারোয়ার মত হয়ে থাকে।

জিরার উপকারিতা

জিরার বীজে তৈলনালি সহ আটটি খাঁজ  থাকে। আড়াআড়ি খাঁজ এবং হলুদভাব বাদামি রঙ্গের হয়ে থাকে। এটি গোলাকার লম্বাটে আকৃতির হয়ে থাকে। এগুলা অন্যান্য উদ্ভিদ যেমন- কারোয়ার ,  পার্সলে ও সোয়া সালফা প্রকৃতির মত হয়ে থাকে।

জিরার চাষাবাদ

জিরা সাধারনত দোআঁষ মাটিতে চাষ করা হয়। শুকনো বীজ থেকে এদের চাষ করা হয়। জিরার ফুল ও পাতা সাধারনত নরম প্রকৃতির হয়ে থাকে। এজন্য পোকার আক্রমন বেশি হয়ে থাকে।

জিরার ব্যবহার

জিরা সচরাচর মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মসলা হিসেবে যেমন ব্যবহার করা হয় তেমনি ভেষজ কাজেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন- বাতব্যাথা, কফ, অরুচি, জ্বর , পেটের অসুখ, চোখের অসুখ এবং ক্ষত সারাতে কাজে আসে। সেজন্য জিরার উপকার অনেক বেশি।

জিরার উপকারিতা

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top