সনাতন ধর্মে কেন নীলকন্ঠ পাখিকে বিশ্বাস করা হয়

নীলকন্ঠ পাখির স্বভাব

নীলকন্ঠ পাখির স্বভাব! পাহাড়ী নীলকন্ঠ পাখিটি ইউরিস্টোমাস প্রজাতির এক প্রকার বিরল পাখি। এরা বাংলাদেশের পরিযায়ি পাখি। এরা সাধারনত গ্রীষ্মের সময় প্রজননের উদ্দেশ্যে আসে। এরা সাধারনত পাহাড়ী নীলকন্ঠ নামে পরিচিত। এদের ইংরেজী নাম-Oriential dollarbird এবং বৈঙ্গানিক নাম-Eurystomus orientalis ।

নীলকন্ঠ পাখির বর্ণনা

এই প্রজাতির পাখিরা দেখতে গাঢ় বাদামি বর্ণের হয়ে থাকে। এদের দেহের পিছনে ও লেজের অংশটা সবুজ বর্ণের হয়ে থাকে। এরা লম্বায় ২৮-৩০ সেমি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এদের মধ্যে পুরুষ পাখির ওজন ১২০ গ্রাম এবং স্ত্রী পাখির ওজন ১৭২ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। এদের পাখার দৈর্ঘ্য ১৭৮-১৯৮ মিমি হয়ে থাকে। ঠোঁট  গুলো ২৭ থেকে ৩৫ এবং লেজ ৯০ -১০২ মিমি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এদের পেট এবং নীচের অংশ হালকা বর্ণের হয়ে থাকে। েএদের গলার দিকটা অনেকটা চকচকে নীল কালারের হয়ে থাকে।

এদের ঠোঁট গুলোতে কমলা লালের সাথে কালো রঙ্গের মিশ্রন রয়েছে। কিন্তু ঠোঁট গুলো ছোট ও চওড়াকৃত । এদের পায়ের রঙ্গ লাল।  সাধারনত স্ত্রী পাখি পুরুষ পাখির তুলনায় অনুজ্জ্বল। তাছাড়া এই পাখি গুলার মধ্যে আর কোন পার্থ্যক পাওয়া যায় না। অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখি গুলো অনুজ্জ্বল হয়ে থাকে। এদের ঠোঁট ও পা নীল বর্ণের হয়ে থাকে।

নীলকন্ঠ পাখির স্বভাব

এই পাখি গুলা দিবচির পাখি। এরা দিনে স্বীকার করে এবং রাতের বেলায় এরা বিশ্রাম নেয়। এরা চিরসবুজ ও বনের প্রান্তে ঘুরে বেরাতে দেখা যায়। এদেরকে দিনের বেলায় বনে বাদারে ঘুড়তে দেখা যায়। এদেরকে সাধারনত একাকী বা জোড়ায় জোড়ায় ঘুড়তে দেখা যায়। পাতা ছাড়া গাছে মগডালে বা বৈদুত্যিক তারে বসে থাকতে দেখা যায়।

সেখান থেকে দেখে কোন পোকামাকড় দেখতে পেলে উড়ে এসে নিয়ে আবার সেখানেই গিয়ে বসে থাকে।এরা সাধারনত ক্যাঁক- ক্যাঁক সড়ে ডেকে থাকে।

নীলকন্ঠ পাখির প্রজনন

নীলকন্ঠ পাখির প্রজননের সময় মার্চ থেকে জুন। এর মধ্যে তারা তাদের প্রজনন ঘটায়। প্রজননের সময় এরা গাছের প্রাকৃতিক কোটরে প্রজনন ঘটায়। এরা সাধারনত ৩-৪ টি ডিম দিয়ে থাকে। ডিমের রং সাদা হয়ে থাকে। ডিম ফোটার ১৭-২০ ‍দিনের মধ্যে বাচ্চা দিয়ে থাকে। ডিম ফোটানোর সময় পুরুষ স্ত্রী দুজনেই ‍মিলে তা দিয়ে থাকে। বাচ্চা উড়তে শেখা পর্যন্ত পুরুষ স্ত্রী এক সঙ্গে থাকে।

নীলকন্ঠ পাখির খাদ্যের তালিকা ও বিসতৃতি

এদের খাদ্য তালিকার মধ্যে রয়েছে ছোট ছোট পোকা মাকড়, পঙ্গপাল, ঘাস ফড়িং, উই পোকা, ছোট টিকটিকি, ঘোর্ঘুরি পোকা, এবং বিভিন্ন প্রকার গবুড়ি পোকা। এদেরকে সাধারনত সিলেটও চট্রগ্রাম অঞ্চলে দেখা যায়। এদের বৈশ্বিক বিসতৃতি অট্রোলিয়া ও জাপান।

নীলকন্ঠ পাখির অবস্থা

আই. ইউ. সি. এন এই প্রজাতিটিকে আশংকাজনক হিসেবে ঘোষনা করেছে। বাংলাদেশে এরা মহাবিপন্ন হিসেবে বলা হয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top