ফুড পয়জনিং কি কারনে হয় এর প্রতিকারই বা কি?

ফুড পয়জনিং

ফুড পয়জনিং! সব রকম খাবার প্রস্তুতকৃত খাবার তার নির্দিষ্ট সময়ের পরে নষ্ট হয়ে যায়। নানান রকম কারনের জন্য খাবার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। খাদ্য নষ্ট করার একটি উপাদান হলো ব্যাকটেরিয়া।

এই ব্যাকটেরিয়া ফুড পয়জনিং করার একটি মূল উপাদান। একে টক্সিন বলে। খাদ্যের মধ্যে টক্সিন মানবদেহের মধ্যে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। খাদ্য গ্রহন কারী অসুস্থতা সহ মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বিভিন্ন কারনে বিষক্রিয়া হতে পারে। যেমন-

১-কাঁচা খাবার বেশি সময় ধরে বাইরে থাকলে তাতে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে।

২- যথাযথ ভাবে ভালো করে সংরক্ষন করা না হলে তাতে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

৩- রোগ জীবাণু সংক্রমিত রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত মাছ , মাংস খেলে বিষক্রিয়া হয়।

৪- অপরিষ্কার খাবার খেলে তাতেও হতে পারে।

বিষক্রিয়া সৃষ্টির লক্ষণ

খাদ্যের বিষক্রিয়া শরীরের জন্য অনেক ক্ষতি কারক। ব্যাকটেরিয়া জনিত খাবার পেটে গেলে পাকস্থলিতে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ফলে শরীরে বমি বমি ভাব, মাথা ঘোড়ানো, তলপেটে ব্যাথা, পাতলা পায়খানা, ইত্যাদি নানান রকম জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। খাদ্য গ্রহনের ১২ থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই রকম জটিলতার দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

বিষক্রিয়া প্রতিরোধের কারন

খাদ্যে বিষক্রিয়া সৃষ্টির যেমন কিছু কারন আছে ঠিক তেমনি তা প্রতিরোধের কিছু নিয়ম আছে। জীবন যাপনে সুঅভ্যাস চর্চা করলে বিষক্রিয়া পুতিরোধ করা সম্ভব। যেমন-

১- খাবার বানানোর পূর্বে অব্যশই রান্নার জিনিস এবং যে রান্না করবে তার হাত ভালো ভাবে পরিষ্কার করতে হবে।

২- সব ধরনের শাক সবজি ভালো করে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিতে হবে।

৩- জীবাণুর সংক্রমন প্রতিরোধ করতে খাবার বানানোর আগে ও পরে খাবার সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষন করতে হবে।

৪- রান্না করার জন্য সব সময় বিষুদ্ধ পানি ব্যবহার করতে হবে।

৫- রান্না করা খাবারের পাশে যেন অপরিষ্কার শাক সবজি , কাঁচা মাছ, অপরিষ্কার চামুচ বা অপরিষ্কার কিছু যেন না আসে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

৬- খোলা রাস্তায় অপরিষ্কার খাবার না খাওয়া উত্তম।

বিষক্রিয়ায় করনীয়

কোনো কারনে খাদ্যে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হলে তা মোটেও অবহেলা করা ঠিক না। অনেক সময় বিষক্রিয়া সৃষ্টি হলে ঘরে বসেই তা  প্রতিকার করা সম্ভব। খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারনে অনেক সময় বমি বমি ভাবের সৃষ্টি হয় সেক্ষেত্রে স্যালাইন খাওয়া দরকার। বমি জাতীয় ঔষুধ ও খাওয়া যেতে পারে।

এ অবস্থায় বিশ্রাম নেওয়া দরকার । বিষক্রিয়া গুরুতর অবস্থায় গেলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার। প্রয়োজন হলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া দরকার। যখন কোন খাদ্যে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয় তখন সেখানে এক ধরনের বিষাক্ত উপাদানের সুষ্টি হয় সেটি হলো টক্সিন। আর এই খাবার খেলে খাদ্যে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

খাদ্য যথাযথ ভাবে সংরক্ষনের অভাবে অপরিস্কার ও নংরা হাত দিয়ে নারাচারা করলে খাদ্যে বিষক্রিয়ার তৈরি হয়। অনেক সময় এর পরিমান বেশি হলে মানুষ মারা পর্যন্ত যেতে পারে। তাই এটি প্রতিরোধ করা অত্যন্ত জরুরী। কিছু কিছু সুঅভ্যাস চর্চা করলে তা প্রতিরোধ করা সম্ভব।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top