তার বিহীন বিদ্যুৎ প্রবাহ আবিষ্কার করে দেখাল আমেরিকা

বিদ্যুৎ কে আবিষ্কার করেন! বর্তমানে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পুরোপুরি বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল। আজকের বিশ্বের আধুনিক সভ্যতা বিদ্যুৎ ছাড়া কল্পনা করা অসম্ভব।

বিদ্যুৎ কে আবিষ্কার করেন

গতানুগতিক বিশ্বে বিদ্যুৎ ব্যতীত আমাদের বাড়িঘর, অফিস আদালত কোন কিছুই কল্পনা করা যায় না। তাই শুধু গত সহস্র বছর ধরেই নয়। বিদ্যুৎ নিঃসন্দেহে ইতিহাসের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ আবিষ্কার। কারণ বিদ্যুতের উপর নির্ভর করে যেসব যন্ত্রপাতি আবিষ্কৃত হয় তার সব কয়টি ইতিহাসের অন্যতম সেরা আবিষ্কার বলে বিবেচিত।

এর পেছনে কি প্রশ্ন উঠে আসে না, যে এত কিছুর আবিষ্কারক বিদ্যুৎ কিভাবে আবিষ্কার হলো? কে এই অসাধ্য কাজটা করল? শত বছর ধরে কিভাবেই বা এটা ব্যবহৃত হয়ে আসছে? কৌতুহলী মন এই প্রশ্নগুলোর উত্তর কি একবারও জানতে চাইনি ? অতীতে না চেয়ে থাকলেও এখন অন্তত জানতে চাওয়ার কথা। তাই পোস্টটি স্ক্রিপ্ট না করে পুরোটি পড়ুন। আমাদের উপর বিশ্বাস রেখে পোস্টটি পড়লে আমি আপনাদেরকে বলতে পারি আপনার সময় বিফলে যাবে না। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্টটি,,,

বিদ্যুৎ আবিষ্কার করেন কে

১৬ শতকে ইংল্যান্ডে উইলিয়াম গিলবার্ট নামে একজন চিকিৎসক ছিলেন। তিনি ইংল্যান্ডের রানী প্রথম এলিজাবেথ এর চিকিৎসক ছিলেন। গিলবার্ট লক্ষ্য করেন কোন একটি বস্তুর সঙ্গে অন্য একটি বস্তুর কে ঘুষলে তাদের মধ্যে একটি আকর্ষণের ক্ষমতা চলে আসে।

যেমন ধরুন একটি কলম যদি আমাদের চুলে বারবার ঘোসা হয় এরপর সেটি কয়েকটি ছোট কাগজের টুকুরোর কাছে নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে সেই কাগজের টুকরো গুলো  কলমের সঙ্গে আটকে যায়। তখন উইলিয়াম বিলবার্গ এই শক্তির নাম রাখেন ইলেকট্রিসিটি। এর আগের একটি ঘটনা ছিল। ঘটনাটি ১০০, ২০০ কিংবা এক হাজার বছর আগেরও না প্রায় ২৬০০ বছর আগের। সে সময় থেলিস নামে গ্রিসে এক গণিত তত্ত্ববিদ ছিলেন।

তিনি আবিষ্কার করেন যে রেশনের উপরে বা বিড়ালের পশমে কোন বস্তুকে কয়েকবার ঘুষলে তাতে ছোট ছোট কাগজ টুকরা আটকে যাচ্ছে। তবে সেই সময় থেলিসএটিকে কোন কালো জাদু ভাবেন ফলে এই নিয়ে তিনি আর কোন গবেষণা করেননি এরপর কেটে যায় দুই হাজার বছর তারপরে মূলত ইংল্যান্ডের চিকিৎসক উইলিয়াম গিলবার্গ আবিষ্কার করেন যে শুধুমাত্র রেশমের বা বিড়ালের পশম নয় একটি বস্তুর সঙ্গে অন্য একটি বস্তুকে ঘষলে তার সঙ্গে একটি আকর্ষণের শক্তি ক্ষমতা চলে আসে।

গণিতজ্ঞ থিলিস এটিকে কালো জাদু মনে করলেও। চিকিৎসক উইলিয়াম এটিকে ইলেকট্রিসিটি নাম দেওয়ার পর থেকে ধীরে ধীরে ইলেকট্রিসিটির বিষয়ে মানুষের ধারণা আসে। সেই সময় উইলিয়াম এমন যন্ত্র আবিষ্কার করেছিলেন যার সাহায্যে এটা বোঝা যেত যে কোন বস্তুর মধ্যে ইলেকট্রিসিটি আছে নাকি নেই। তিনি তার আবিষ্কৃত এই নতুন যন্ত্রের নাম রাখেন ইলেকট্রোস্কোপ। আর এটি পৃথিবীতে আবিষ্কৃত প্রথম যন্ত্র ছিল যা দিয়ে ইলেকট্রিসিটি মেজারমেন্ট করা যেত।

১৭৯১ সালে দুই বিজ্ঞানী আলেকজান্দ্র ভোল্টা এবং লুই ফানি একটি পরীক্ষা করেন। যেখানে একটি মৃত ব্যাংগের দুই পায়ে দুটি আলাদা ধাতু সংস্পর্শ করতে সেই মৃত পা দুটি নড়ে ওঠে। তখন লুগি গ্যালভানি এটির নাম রাখেন এনিমেল ইলেকট্রিসিটি। তবে তার বন্ধু আলেকজান্দ্রা ভোল্টা এই বিষয়ে সহমত ছিলেন না। তিনি বলেন এটি ঐ দুটি আলাদা পাতের কারণেই হয়েছে। তাই একে মেটাল ইলেকট্রিকসিটি বলা উচিত।

পৃথিবীর প্রথম ব্যাটারি

এরপর ১৭৯২ সালে আলেকজান্দ্র ভোল্টা একাই একটি গবেষণা করেন এবং ১৮৫৭ সালে তিনি পৃথিবীর প্রথম ব্যাটারি আবিষ্কার করেন। তিনি কয়েকটি আলাদা আলাদা ধাতুর ব্যবহার করে। এই ব্যাটারি তৈরি করতে আলেকজান্দ্রা ভোল্টা  জিংক ও কোপারের কতগুলো ধাতু ও পাতকে সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইডে ভিজিয়ে এই ব্যাটারি আবিষ্কার করেছিলেন। ভোল্টার এই আবিষ্কারের পর ইলেক্ট্রিসিটি নিয়ে গবেষণা দ্রুতগতিতে এগোতে থাকে। কারণ এর আগে ইলেকট্রিসিটির একটি নির্দিষ্ট সোর্স পাওয়ার উপায় ছিল না। ভোল্টার  আবিষ্কৃত এই ব্যাটারি থেকে পাওয়া ইলেকট্রিসিটিকে ডিসি কারেন্ট বলা হতো।

ডিসি মোটর

এরপর ১৮২০ সালে খ্রিস্টান ওরেস্টেট নামে এক বিজ্ঞানী তার গবেষণায় লক্ষ্য করেন। যখন একটি ধাতব তারের মধ্য দিয়ে ইলেকট্রিসিটি যায় তখন সেই তারের আশেপাশে একটা চুম্বকীয় শক্তি তৈরি হয় এই ঘটনার এক বছর পর ১৮২১ সালে বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডে এই চৌম্বকীয় শক্তির উপর কাজ করে একটি মোটর আবিষ্কার করেন যা ডিসি মোটর নামে পরিচিত।

এর আগে আঠারোশ শতকে আমেরিকার একজন মহান বিজ্ঞানী বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন ইলেকট্রিসিটি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। বেঞ্জামিন একটা সময় তার সব সম্পত্তি বিক্রি করে ইলেকট্রিসিটি নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিলেন। ১৭৫২ সালে জুন মাসে একটি বৃষ্টির দিনে আকাশে যখন বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিল সে সময় বেনজামিন একটি ঘুড়ি উড়ান। তিনি সেই ঘুরির সুতার সঙ্গে একটি লোহার চাবি বেঁধে দেন। সেই সময় একটি বিদ্যুৎ তার ঘুড়ির উপরে এসে পড়ে এবং সেখান থেকে ইলেকট্রিসিটি সুতার মাধ্যমে প্রথমে লোহার চাবিতে আসে এবং তারপর বেঞ্জামিনের হাত পর্যন্ত পৌঁছায়। আর এভাবেই বেঞ্জামিন হয়ে যান ইলেকট্রিসিটির আবিষ্কারক।

তবে বিদ্যুৎ কিন্তু কেউ আবিষ্কার করেনি। কারণ এই বিদ্যুৎ আগে থেকেই পৃথিবীতে ছিল। আবিষ্কার করা হয়েছে সেই পদ্ধতি যার সাহায্যে এই ইলেকট্রিসিট কে আমরা কাজে লাগাতে পারি।

ইলেকট্রিক বাল্বের আবিষ্কার

যাই হোক প্রাসঙ্গিক বিষয়ে ফেরা যাক। বেঞ্জামিন ইলেকট্রিসিটি আবিষ্কার করে ফেললেও এই ইলেকট্রিসিটিকে কাজে লাগানোর পদ্ধতি তখনো আবিষ্কার হয়নি। এমনকি ১৮২১ সালে বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডে ডিসি মোটর আবিষ্কার করে ফেললেও তখনও পর্যন্ত ইলেকট্রিসিটি শুধুমাত্র একটি গবেষণার বিষয় হিসেবেই সীমিত ছিল। বিদ্যুতের ব্যবহার শুরু হয় মূলত ১৮৭৯ সালে। যখন আমেরিকার বিখ্যাত বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন একটি ইলেকট্রিক বাল্বের আবিষ্কার করেন।

সেই বাল্বের আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গেই সাধারণ মানুষ ইলেকট্রিসিটির ব্যবহার শুরু করে দেয়। সেই সময় এডিশন একটি ইলেকট্রিসিটি তৈরি করার কোম্পানি খোলেন এবং সেখানে তিনি ডিসি জেনারেটর ব্যবহার করতেন। তবে এ ডিসি জেনারেটরের একটি সমস্যা ছিল এর সাহায্যে উৎপন্ন হওয়া ইলেকট্রিসিটি ধাতব ও তারের সাহায্যে দুই থেকে তিন কিলোমিটার এর বেশি দূরত্ব পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। আর এ কারণেই প্রতি দুই থেকে তিন কিলোমিটার দূরত্বের পর একটি করে ইলেকট্রিসিটির ফ্যাক্টরি বসানোর প্রয়োজন হতো।

নিকোলা টেসলা

সে সময় এডিসনের কোম্পানিতে আরেকজন বিজ্ঞানী কাজ করতেন। যার নাম নিকোলা টেসলা। তিনি সে সময় এডিসনের কোম্পানিতে একটি নতুন ধরনের ইলেকট্রিসিটি আবিষ্কারের উপর কাজ করছিলেন। তিনি এই নতুন ধরনের ইলেকট্রিসিটির কথা এডিশন কে জানান। তবে এডিশন এতে সম্মতি জানান নানি। তিনি ভাবেন এই আবিষ্কার সফল হলে তার ডিসি কারেন্টের বিজনেস নষ্ট হয়ে যাবে। এডিসন তখন নিকোলা টেসলাকে বলেন এ এসি ইলেকট্রিসিটি খুবই বিপদজনক তুমি শুধুমাত্র ডিসি কারেন্টের উপরেই কাজ করো। কিন্তু নিকোলা টেসলা চেয়েছিলেন এমন একটি উপায় বের করতে। যার সাহায্যে ইলেকট্রিসিটি বহু দূর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যাবে এমনকি সস্তা হবে।

যাতে সাধারণ মানুষ এই ইলেকট্রিসিটির ব্যবহার করতে পারে। এডিসন যখন তাকে এই গবেষণা করতে বারণ করেন তখন নিকোলা টেসলা এডিসনের কোম্পানি ছেড়ে দেন এবং তিনি নিজেই গবেষণা শুরু করেন। অবশেষে ১৮৮৭ সালে নিকোলা টেসলা এসি জেনারেটর এবং এসি মোটর আবিষ্কার করেন। আর এর ফলে ইলেকট্রিসিটি বহুদূর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল এবং এরপর থেকে ইলেকট্রিসিটির ব্যবহার বাড়তে থাকে পাশাপাশি নতুন নতুন ইলেকট্রিক যন্ত্রের আবিষ্কার হয়।বর্তমানে আমাদের বাসা বাড়ি হতে যে ইলেকট্রিসিটি ব্যবহার করা হয় তা নিকোলা টেসলার আবিষ্কৃত এসি কারেন্ট।

বন্ধুরা আমরা এতক্ষণ জানলাম কিভাবে ইলেকট্রিসিটি বা কারেন্ট আবিষ্কার হয়েছে। এখন আমরা জানবো আধুনিক বিশ্বে তার বিহীন কারেন্ট সংযোগ কিভাবে দেওয়া সম্ভব সে সম্পর্কে।

কোন রকম তারের সংযোগ ছাড়াই জ্বলবে বৈদ্যুতিক বাতি কিংবা ঘরের অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ। বিষয়টি বৈজ্ঞানিক কল্পনা মনে হলেও এমন আবিষ্কার বাস্তবেই সম্ভব হয়েছে। ওয়াইফাই এর মত তার বিহীন এক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা আস্তে যাচ্ছে খুব শীঘ্রই। তার বিহীন বিদ্যুৎ স্থানান্তরের এই পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ নিরাপদ। ওয়াইফাই রাউটার যেভাবে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করে থাকে ঠিক একই রকম ভাবে বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে বিনা তারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে।

এই অসাধ্যকে সাধন করেছেন মার্কিন প্রতিষ্ঠান ওয়াট ইলেকট্রিসিটি। বিশ্বের এক নম্বর বিশ্ববিদ্যালয় এমআইটিতে ওয়াট ইলেকট্রিসিটির যাত্রা শুরু হয়েছিল। পদার্থ বিজ্ঞানের একদল অধ্যাপক বৈদ্যুতিক শক্তিকে পরিবহনের এক যুগান্তকারী পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। এই পদ্ধতিতে কোন ধরনের তারের সাহায্য ছাড়াই দূরবর্তী স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়।

হোয়াইটট্রি সিটি মূলত ওয়ারলেন্স বিহীন অনুনাথ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। এই প্রযুক্তিতে বাতাসে বিদ্যুৎ ছড়িয়ে দেওয়ার বদলে বিশেষ চুম্বক ক্ষেত্রের সাহায্যে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করা হয়। ভবিষ্যতের তারবিহীন বিদ্যুৎ স্থানান্তর তার বিহীন ইন্টারনেট ব্যবহারের মতই সহজ হবে। সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটলে মোবাইল ফোন পকেটে রেখেই চার্জ দেওয়া সম্ভব হবে। তখন ল্যাপটপের জন্য আলাদা চার্জার লাগবে না। অথবা টেলিভিশনের সাথেও কোন তার যুক্ত করতে হবে না।

হোয়াইটট্রিসিটিতে কর্মরত ব্যক্তিরা মনে করেন, ভবিষ্যতে হালের ওয়াইফাই প্রযুক্তির মতই ঘরবাড়িতে তার বিহীন বিদ্যুৎ ব্যবস্থার প্রচলন শুরু হবে। এছাড়াও এই প্রযুক্তি নতুন উদ্ভাবনী চিকিৎসার যন্ত্রপাতি তৈরিতেও কাজে লাগবে। সাধারণত ধারণা করা হয় ওয়ারলেস চার্জিংয়ে প্লাগিন চার্জিং এর চেয়ে বেশি সময় লাগে কিন্তু বাস্তবে নতুন প্রযুক্তি দিয়ে সাধারণ তারের সাহায্যে চার্জিংয়ের সমান গতি অর্জন করা সম্ভব হবে ওয়ারলেস চার্জিংয়ে।

বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ দেওয়ার ক্ষেত্রে এই ধরনের ব্যবস্থা অনেক কাজে আসবে কারণ গাড়ির চার্জার গুলো বেশ ভারী এবং ঝামেলা পূর্ণ। এছাড়া অনেকেই প্রতিদিন তাদের গাড়ির চার্জ দিতে ভুলে যান তাদের জন্য হোয়াইটট্রিসিটি হতে পারে মোক্ষম সমাধান। কারণ এই ব্যবস্থায় গাড়ি অটোমেটিকলি পার্ক করে রাখলেই চার্জ হতে থাকবে।

হোয়াইটট্রি সিটির সিও মনে করে করেন, ওয়ারলেস চার্জিং সহজলভ্য হলে অনেকেই ইলেকট্রিক গাড়ি কিনতে আগ্রহী হবেন। কোম্পানিটি এখন বেশ কয়েকটি গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সাথেও যৌথভাবে কাজ করছে।ভবিষ্যতে সচালিত গাড়ির ব্যাপক প্রচলন হলে ওয়ার লেন্স পাওয়ার স্টেশন সনাক্ত করে গাড়ি নিজে নিজেই চার্জ পূর্ণ করে নিবে তখন গাড়ির মালিক কে চার্জ দেওয়ার জন্য আর কোন বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হবে না। জনপ্রিয় ইলেকট্রিক কার টেসলার মডেল থ্রিতে ইতোমধ্যেই চার্জিং এর এই ব্যবস্থা সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে।

ওয়ারড্রেন ক্লিপ টাওয়ার

তারহীন বিদ্যুৎ পরিবহনের এই ধারণা নতুন মনে হলেও, বিজ্ঞানী নিকোলা টেসলা শত বছর আগে এই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে গেছেন। বিজ্ঞানী টেসলা সবাইকে বিনামূল্যে তার হীন বিদ্যুৎ সুবিধাও দিতে চেয়েছিলেন। সেই উদ্দেশ্যে ১৯০১ সালে নিউইয়র্কের সোরহামে এক বিশেষ ধরনের টাওয়ার তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল।

প্রায় ৫৭ মিটার উঁচু এই টাওয়ারের নাম দেওয়া হয় ওয়ারড্রেন ক্লিপ টাওয়ার। টেসলার পরিকল্পনা অনুযায়ী ওয়ার্ডড্রেন ক্লিপ টাওয়ারের মতো আরও অনেকগুলো ছোট ছোট টাওয়ার তৈরি করার কথা ছিল বিশ্বজুরে। যেগুলো মানুষের কাছে তার ছাড়া বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে পারতো। নিকোলা টেসলার সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে সবাই উপকৃত হতো। সে ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য আমাদের হয়তো একটি টাকাও খরচ করতে হতো না।

বর্তমান বিশ্বের ইন্টার্নেট ব্যবস্থার ষাট শতাংশ আদান প্রদান করা হয় ওয়াইফাই প্রযুক্তি ব্যবহার করে। ওয়াইফাই এর চেয়ে ১০০ গুণ বেশি তথ্য আদান-প্রদানের ব্যবস্থা আবিষ্কার করা হয়েছে। এই প্রযুক্তির নাম লাই ফাই। আলোক তরঙ্গের উপর ভিত্তি করে লাই ফাই প্রযুক্তি গড়ে তোলা হয়েছে। ভবিষ্যতের লাই ফাই প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে আমাদের পরবর্তী পোস্টটি ফলো করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top