বিশ্ব হিজাব দিবসের ইতিহাস ও ইসলামের কঠোর বার্তা

বিশ্ব হিজাব দিবস

বিশ্ব হিজাব দিবস! হিজাব হচ্ছে একটি  আরবি শব্দ। এর অর্থ হচ্ছে আবৃত থাকা। একটি মেয়ে মানুষের সৌন্দর্য্যের সব দিককে আবৃত করে চলাই হল হিজাব। মেয়ে মানুষকে সব সময় সুন্দর ও সুশৃঙ্খল ভাবে চলাফেরা করা। সে জন্য সুন্দর পোষাক ও হিজাব পড়া দরকার।

বিশ্বে হিজাব দিবস কবে?

বিশ্বে হিজাব দিবস চালু হয়েছে ২০১৩ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে। তখন থেকে মূলত বিশ্বের সকল নারী হিজাব পরিধান করেছিল। তখন বিশ্বে মুসলিম অমুসলিম সকল নারী হিজাব দিবস পালন করেছিল।তাছাড়াও বর্তমানে বিশেষ করে পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট করে লেখা আছে যে মুসলিম নারীরা সবসময় সর্বোচ্চ পর্দার সহিত জীবন যাপন করবে। সে জন্য হিজাব পরিধান করা দরকার।

এছাড়াও একজন নারী সৌন্দ্যর্য কখনই বাইরে প্রকাশ করা ঠিক না। বিশেষ করে বাইরে যখন বের হবে তখন অব্যশই পর্দার সহিত চলাফেরা করা দারকার।

হিজাবের প্রতিপাদ্য বিষয়

বর্তমান বিশ্বে হিজাব দিবসের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে আধুনিকতার ছোঁয়ায় সকল মানুষ অতান্ত্য বিশৃঙ্খল ভাবে চলাফেরা করে।

সেজন্য নারীরা তাদের সকল সৌন্দর্যের অংশটুকু আবৃত করে চলে। তাহলে সমাজের মধ্যে যে সমস্যা গুলো হয়ে থাকে সে গুলো আর হবে না। পর্দার সহিত থাকলে নারীরা সব দিক থেকে ভাল থাকবে। আর এটি হচ্ছে হিজাবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।

হিজাব নিয়ে ইসলাম ধর্মে যা উল্লেখ আছে

ইসলাম ধর্মে এটি উল্লেখ আছে যে নারীরা সব সময় সতর্কতার সাথে সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করবে। কিন্তু এখনকার যুগে নারীরা বেশি করে উশৃঙ্খল ভাবে চলাফেরা করতেছে। সে জন্য নারীরা বেশির ভাগ সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে। এছাড়া যারা পর্দাশীল হয়ে চলাফেরা করবে না বেপর্দা হয়ে ঘুরবে তাদের জন্য ভয়ংকর একটি বার্তা হলো পরকালে তাদের জন্য রয়েছে চির শাস্তিময় যে জায়গাটা হচ্ছে জাহান্নাম।

সমালোচনা

বিশ্বে হিজাব দিবস পালন করার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম নিউইয়র্কের এক বাসিন্দা নাজমা খান নামের এক মুসলিম নারী প্রথম মাথায় হিজাব পরিধান করে। নাজমা খান বাংলাদেশী হলেও সে দীর্ঘ ১১ যাবত ধরে নিউইয়কের বাসিন্দা। তিনি প্রথম মাথায় হিজাব পরিধান করে।

প্রথমত

বিভিন্ন বাধা বিপত্তির মোকাবেলা করে নাজমা খান সর্বপ্রথম হিজাব দিবস পালনের জন্য ডাক দেয় । তখন তার ডাকে অনেক মুসলিম অমুসলিম নারী এই দিবসপালন করতে আসে।

এছাড়া তিনি যখন হিজাব মাথায় দিয়ে স্কুলে  যায় তখন তার বন্ধুবান্ধব পরিজন নানান ভাষায় তাকে অপমান জনক কথা বলে থাকে।তারপর তিনি বিভিন্ন যোগাযোগের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ভাবে ধীরে ধীরে সারা পৃথিবীতে ছরিয়ে দেয়।তখন বিশ্বে প্রায় অসংখ্য নারী তার ডাকে সারা দিয়ে এই বিষয়ে আসক্ত হয়ে নিয়মিত এই দিবসটি পালন করতে থাকে। বর্তমান পরিসংখান অনুসারে বর্তমান প্রায় ১৪০ টি দেশে এই হিজাব দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।

পরিশেষে

বিশ্ব হিজাব দিবস শুধু মুসলিম নারীদের জন্য না অমুসলিম নারীদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। কারন বর্তমান বিশ্বে যে সব অঘটন হচ্ছে তা শুধু বেপর্দা ভাবে চলাফেরা করার জন্য । সে হিজাব সকলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। তাছাড়া এটি সুষ্পষ্ট ভাবে প্রমান হয়েছে তথ্য প্রযুক্তি বিষেসজ্ঞদেরমতে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top