মহান বিজয় দিবস ২০২৪ এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য

ডিসেম্বর মাস আমাদের বাঙালিদের সবার বিজয়ের মাস। ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের বাঙালির জাতির গৌরবের একটি দিন। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ শেষে  এই দিনে হাজারো মানুষের প্রানের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনা তৎকালিন পশ্চিম পাকিস্তানের কাছ থেকে আমাদের এই  বিজয় দিবস ১৬ই ডিসেম্বর।এই দিনে হাজারো মানুষ কেঁদেছে তাদের স্বজন হারানোর বেদনায়। মা কেঁদেছে তার সন্তানের জন্য, বাবা কেঁদেছে তার পরিবারের জন্য, ভাই কেঁদেছে ভাইয়ের জন্য , বোন কেঁদেছে তার ভইয়ের জন্য।

মহান বিজয় দিবস ২০২৩

কিন্তু এত সব কিছুর ভয়ের মাঝে সবার মনে অটুট সাহস জগিয়েছে আমদের জাতির পিতা ”বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান”। যা বিশ্বের ইতিহাসে স্বর্নঅক্ষরে এই মানুষটির নাম লেখা আছে ।

বিশ্বের ইতিহাসে বিজয় দিবস কি?

বিজয় দিবস হলো বিশ্বের ইতিহাসে সেই নির্মম রক্ত ক্ষয়ী যুদ্ধ। ১৯৭১ সালে তৎকালিন সময়ে পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এবং ইয়াহিয়া খানের রাষ্ট্রিয় সকল কাজের মধ্যে মতের অমিল হয় তখন যুদ্ধ ঘোষনা করে। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা। তাকে বলে বিজয় দিবস।

বিজয় দিবস কেন পালন করা হয়?

বিজয় দিবস পালন করার প্রধান কারণ, এই দিবস অর্জন করার জেন্য বাঙালি জাতি তখনকার সময়ে পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ ঘোষনা করে স্বর্বসান্ত হয়ে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করার পর অর্জন করা হয়। ১৯৭১ সালে ১৬ই ডিসেম্বর জাতিসংঘ কর্তৃক এটি ঘোষনা করা হয়। তখন থেকে প্রতি বছর ১৬ই ডিসেম্বর মহান স্বাধীনতা দিবস কিংবা বিজয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এটি প্রতিটি জাতির মনে একটি স্মরনীয় দিন। ঠিক এ কারনে আমরা প্রতি বছর এই দিবসটি পালন করে থাকি।

বিজয় দিবসটি ২০২৪ সালে কত তম বিজয় দিবস?

এটা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের জানার আগ্রহ জাগে যে বিজয় দিবস ২০২৪ সালে কত তম দিবস। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে প্রতিটি মানুষের মনে সাড়া জাগায়। সেই অতিতের ফেলে আসা সেই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের কথা। তাই আমরা সকলেই প্রতি বছর ১৬ই ডিসেম্বর পালন করি এবং সকলে ভাবে যে  এ বছর কত তম বিজয় দিবস পালন করা হচ্ছে। তাই এবারের ১৬ই ডিসেম্বর ২০২৪ সালে বিজয় দিবস ৫৪ তম বিজয় দিবস পালন করাস হবে।

৫০ তম বিজয় দিবস বাঙালির জাতির স্মরনীয় কেন?

৫০ তম বিজয় দিবসটি বাঙালি জাতির জীবনে একটি চির স্মরনীয় দিন। এই দিনটিকে সুবর্ন জয়ন্তী মাধ্যমে পালন করা হয়েছিল । এই ৫০ তম বিজয় দিবসে জাতির পিতা “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের” ১০০ তম জন্মবার্ষীকি পালন করা হয়েছিল। সেজন্য এই দিনটিকে গৌরবময় ও সুবর্নজয়ন্তী ‍হিসেবে সবার চির স্মরনীয়। ১৯৭১ সালে ১৬ই ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহীনি আত্মসমর্পনের দিন স্বাধীনতা ঘোষনা করা হয়। তখন থেকে ২৬ই ডিসেম্বর পালন করা হয় । ৫০ তম বিজয় দিবস ৫০ বছর পূর্তি স্বাধীনতা অর্জনের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান।

বিজয় দিবস পালন করার প্রতিপাদ্য করণ কি?

পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যে পাকিস্তান হানাদার বাহীনি এবং বাঙালি জাতির সাথে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের নয় মাস পর স্বাধীনতা অর্জনের দিন। যুদ্ধের বিনিময়ে তৎকালিন পূর্ব পাকিস্তান তথা বর্তমান সময়ের বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের মধ্যে দিয়ে ১৬ই ডিসেম্বরকে বিজয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে।

আমাদের দেশের পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭১ সালে। এই যুদ্ধে বাঙালি জাতির ধন সম্পদ ইজ্জত ঘড় বাড়ি সবকিছু লুটপাট করে দেয় পশ্চিম পিাকিস্তানের হানাদার বাহিনীরা। তারপরও এই মহা যুদ্ধ জয় লাভ করে বিজয় ছিনিয়ে আনে আমাদের বাঙালি জাতি যা ১৬ই ডিসেম্বর হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে।

বিজয় দিবস কবে পালন করা হয়ে থাকে

প্রতি বছর ডিসেম্বর মাস আসলে সবার মনে পড়ে যায় সেই রক্তক্ষযী দিনগুলার কথা। এই বছর বিজয় দিবস পালন করা হবে ২০২৩ সালে ১৬ই ডিসেম্বর  রোজ শুক্রবার। এই দিনটি সরকারের ঘোষনা করা ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়ে থাকে। তাছারাপ্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি সকল সংসদ সদস্য বৃন্দ এই দিনটিকে অনেক আয়োজনের সাথে পালন করে থাকে।

বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা

এই দিনটি গৌরবউজ্জল ও স্মরনীয় দিন । যে দিনটি ার্জন করতে গিয়ে শত কোটি মা বোন তাদের মূল্যবান ইজ্জত নষ্ট করেছে এবং শত কোটি মানুষ তাদের জীবন দিয়েছে এত সব কিছুর ‍বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের এই স্বাধীনতা। আর এই বিজয় দিবসের জন্য একজন আরেকজনের মধ্যে শুভেচ্ছা বাণী ও মতবিনিময় করে থাকি।

বিজয় দিবসের মূল্যবান বানী

বিজয় দিবসের এই সব বানী গুলো কোন অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করলে মনে হয় যে আমরা সেই কঠিন রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের নয় মাস কাটিয়ে এসেছি। তাছারা বাঙালি জাতি তথা যাদের বিনিময়ে আমরা এই স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছি। তাদের জন্য এই বানীটি-

স্বাধীনতা মানে

লিখতে পারি ,বলতে পারি কথা

স্বাধীনতা মানে

লাল সবুজের এক খানি পতাকা

“স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা”

নিঃস্বার্থ মানুষ

সেই নিঃস্বার্থ মানুষটি হচ্ছে আমাদের জাতির পিতা ”বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান”। যিনি বাংলাদেশ স্বধীনতার বিষয়ে কখনও অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেনি। তার ব্যাক্তিগত কোন চাওয়া পাওয়া ছিল না সব কিছু ছিল বাঙালি জাতিদের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ বির্সজন দিয়ে ছিনিয়ে আনা স্বাধীনতা । মহান বিজয় দিবস।

তৎকালিন সময়ে শতকোটি মানুষের রক্তের বিনিময়ে আনা এই স্বাধীনতা। যার সুযোগ্য নেতৃত্বে দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে ছিনিয়ে আনা আমাদের সোনার বাংলাদেশ। সে জন্য আমরা সেই মানুষটিকে কখনই ভুলতে পারবো না।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top