তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এই গরমে ঘরে বসেই তৈরি করুন ময়েশ্চারাইজার

ময়েশ্চারাইজার তৈরির নিয়ম

ময়েশ্চারাইজার তৈরির নিয়ম! তো চলুন বন্ধুরা শুরু করা যাক কিভাবে আপনি ঘরে বসেই তৈরি করতে পারবেন ময়েশ্চারাইজার।বন্ধুরা শীতকাল আসছে চলেছে , তাই ত্বকেও রুক্ষতার ছাপ। ত্বকের টানটান ভাব, খসখসে, নখের আচর দিলেই সাদা দাগ দেখা যায়।

বিশেষ করে যাদের ত্বক রুক্ষ তাদের সারা বছর লোশন ব্যবহার করতে হয়। বাজারের লোশনগুলো একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ব্যবহার করা নিরাপদ। তারপর ব্যবহার না করা ত্বকের জন্য ভালো। অ্যালোভেরা জেল এবং নারকেল তেল দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন দারুণ দুটি লোশন। এই লোশন দুটি সারা বছর ব্যবহার করতে পারেন। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি হওয়ায় এর কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।

ঘরে বসে ময়েশ্চারাইজার দুটি তৈরির উপায়

উপকরণ :
(১) (অ্যালোভেরা জেল এবং নারকেল তেলের ক্রিম)
(২) অ্যালোভেরা জেল, ১/২ কাপ বিশুদ্ধ নারকেল তেল, এসেনশিয়াল অয়েল। প্রণালী : অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেল বের করে একটি পাত্রে রাখুন। এবার ব্লেন্ডারে অ্যালোভেরা জেল, নারকেল তেল, এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে ব্লেন্ড করুন। কিছুটা ঘন হয়ে আসলে এটি গ্লাস কনটেইনারে ঢেলে রাখুন। এটি ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। সারা শরীরে এবং ত্বকে এটি ব্যবহার করতে পারেন। এমনকি মেকআপ রিমুভার হিসেবেও এটি ব্যবহার করা যায়।(ময়েশ্চারাইজার তৈরির নিয়ম)

উপকরণ :

(১) (অ্যালোভেরা জেল এবং নারকেল তেলের লোশন)
(২) ৪ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল
(৩) ২ চা চামচ বিশুদ্ধ নারকেল তেল
(৪) ১/২ চা চামচ ভিটামিন ই অয়েল
(৫) কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল

প্রণালী :অ্যালোভেরা জেল, নারকেল তেল এবং ভিটামিন ই অয়েল দিয়ে একসাথে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। কিছুটা ফেনা উঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। কাঁচের কনটেইনারে ঢেলে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। কয়েক সপ্তাহ এটি ব্যবহার করতে পারবেন। এটি শেভিং ক্রিম হিসবে ব্যবহার করতে পারেন। শুধু তাই নয় ত্বকের পাশাপাশি ঠোঁটের ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও এটি কাজ করে।

গরমের সময় বাড়িতেই বানিয়ে নিন প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার

চলে এল গরম। আর এসময় ত্বক বেশি ঘেমে যাওয়ায় আরো বেশি নোংরা হয়ে উঠে। তাই ত্বক পরিষ্কার অত্যান্ত জরুরী। কারণ আমাদের ত্বক প্রতিনিয়ত দূষণের স্বীকার হচ্ছে ।

ময়লা জমে গিয়ে লোমকূপের গোড়া বন্ধ হয়ে যায়। আর ত্বক পরিষ্কার করার সাথে সাথে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করাটা সবচেয়ে বেশি জরুরী। অনেকেই ময়েশ্চারাইজার হারানোর ভয়ে ত্বক পরিষ্কার করেন না ,যা একদমই উচিত না । তাই ভালো একটি ফেসওয়াস দিয়ে নিয়মিত ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।

আর এই ময়েশ্চারাইজার কিন্তু আপনি খুব সহজেই ঘরে বসেই বানাতে পারেন। কিভাবে? আসুন তবে জেনে নিই কিভাবে বাসায় ময়েশ্চারাইজার তৈরি করা যায় ।

১. গোলাপ ফুল, মধু ও নারকেল তেলের ময়েশ্চারাইজার-গোলাপ ফুলে রয়েছে প্রাকৃতিক আলফা-হাইড্রোক্সি অ্যাসিড যা ত্বককে করে তোলে ফ্রেশ এবং ত্বকের নমনীয়তা বৃদ্ধি করে। একটি পুরো গেলাপ ফুল দুই কাপ পানিতে সিদ্ধ করে অর্ধেক কাপে পরিণিত করতে হবে। এরপর এর সাথে দুই চা-চামুচ মধু ও নারকেল তেল যোগ করুন ।

ব্যাস ঘরেই তৈরি হয়ে গেল আপনার প্রকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এটি আপনি নিয়মিত মুখ ও ঘাড়ে প্রয়োগ করতে পারেন। নিয়মিত প্রয়োগ করলে এটি আমাদের ত্বককে ফ্রেশ, নরম এবং উজ্জ্বল করে।

ময়েশ্চারাইজার তৈরির নিয়ম click here

২. নিম ও চন্দনের ময়েশ্চারাইজার-এটি খুবই জরুরী যে, অন্তত দুই তিন দিন পর পর আপনার ত্বকে ম্যাসাজ করা প্রয়োজন। এতে আপনার ত্বকের পেশিগুলোর রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। কিন্তম্যাসাজের সময় আবশ্যই কোনো ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। এটি ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে এবং ত্বককে কোমল করে তোলে।

এক্ষেত্রে অশ্বগন্ধা, নিম, চন্দন একসাথে মিশিয়ে ব্যাবহার করতে পারেন। এর সাথে যোগ করতে পারেন সূর্যমূখী ফুলের বীজ,অ্যালোভেরা । এটি খুব ভালো একটি ময়েশ্চারাইজার। এটি আমাদের ত্বকের একটি অবিশ্বাস্য পরিবর্তন আনতে পারে এবং চামড়া তাড়াতাড়ি ঝুলে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।

৩. লেবু এবং পেঁপের ময়েশ্চারাইজার-পেঁপে আমাদের স্বাস্থ্য এবং ত্বকের জন্য আশ্চার্য রকমের উপকারী। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং এফ যা আমাদের ত্বককে করে তোলে কোমল। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহের একটি ভাল উৎস। তাছাড়া এটির পেস্ট নরম এবং ঘন ,তাই এটি ব্যবহার করাও সহজ ।

পাঁকা পেঁপে ভালো ভাবে পিষে নিন এবং এর সাথে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এটি আপনার মুখে মেখে ১৫ মিনিট রেখে দিন এবং হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনি পাবেন মশ্চারাইজড এবং উজ্জ্বল ত্বক।

৪. গোলাপের পাঁপড়ি ও দুধের ময়েশ্চারাইজার-এই গরমে সূর্যের তাপ আমাদের ত্বককে রুক্ষ করে দেয় । তাই এর হাত থেকে রক্ষা পেতে সঠিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা অত্যান্ত জরুরী ।

রুক্ষ বাতাস আমাদের ত্বকের আদ্রতা কেড়ে নেয় । তাই গোলাপের পাঁপড়ি পিষে এর সাথে কাঁচা দুধ মিশিয়ে একটি ময়েশ্চারাইজার বানাতে পারেন। এটি আমাদের ত্বকের সঠিক আদ্রতা ধরে থাকে এবং ত্বক রুক্ষ হওয়া থেকে রক্ষা করে।

৫. কমলা ও দইয়ের তৈরি ময়েশ্চারাইজার-হাফ কাপ টক দইয়ের সাথে দুই চা-চামচ কমলার জুস একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন । এটি মুখ, ঘাড় এবং হাতে ব্যবহার করতে পারেন।

এটি লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে হালকা কুসুম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি আমাদের মৃত কোষ এবং ময়লা দূর করে এবং নতুন চামড়া উঠতে সাহায্য করে। কমলা আমাদের মুখের অবাঞ্চিত কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে এবং দই ত্বককে দ্রুত রুক্ষ হওয়া থেকে রক্ষা করে। রাতে শোয়ার আগে এটি ব্যবহার করে মুখে ক্রিম লাগিয়ে শুয়ে পড়ুন। আর দেখুন জাদুকরী ফলাফল।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top