রোজা ভঙ্গের কারণ ও করনীয় কি কি

রোজা ভঙ্গের কারন কয়টি

রোজা ভঙ্গের কারন কয়টি: ইসলামে ৫টি স্তম্ভ রয়েছে তার মধ্যে রোজা একটি অন্যতম স্তম্ভ। রোজাকে আল্লাহ তাআলা ফরজ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। আর প্রতিবছর তার মুমিন বান্দাদের জন্য আল্লাহ তাআলা ৩০ টি রোজা পালন করা ফরজ করে দিয়েছেন।

আমরা যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য রোজা থাকি তাদেরকে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে যেন রোজাটি কোন ক্ষতি ছাড়াই আল্লাহতালা কবুল করে নেন। অর্থাৎ এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে রোজাটি যেন ভঙ্গ না হয়। আজকে আমরা জানবো রমজান মাসে কোন কোন বিষয়গুলো অনুসরণ করলে রোজা ভঙ্গ হয় সে সম্পর্কে।

রোজা ভঙ্গের কারন

রোজা যেহেতু আমরা আল্লাহকে রাজি ও সন্তুষ্টি করার লক্ষ্যে পালন করে থাকি তাই এই রোজাটি হতে হবে একদম নিখুঁত। অর্থাৎ আমরা যদি দেখি কোরবানির ঈদে যেরকম ভাবে আমরা একটি নিখুঁত পশুকে জোবাই দিয়ে থাকি।

ঠিক একই ভাবে আল্লাহকে রাজি ও সন্তুষ্টি করার জন্য আমদের রমজান মাসের প্রতিটি রোজা যেন নিখুঁত ও সহি শুদ্ধ হয় সেই চেষ্টা করি। এর মানে হলো একজন রোজাদার ব্যক্তি যেন কোনোভাবেই রোজা ব্যতীত তার দুর্বলতা প্রকাশ না পায়। নিচে রোজা ভঙ্গের ৭টি কারণ দেওয়া হল।

১। সহবাস

২। হস্তমৈথুন

৩। পানাহার

৪। যা কিছু পানাহারের স্থলাভিষিক্ত

৫। শিঙ্গা লাগানো কিংবা এ জাতীয় অন্য কোন কারণে রক্ত বের করা

৬। ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করা

৭। মহিলাদের হায়েয ও নিফাসের রক্ত বের হওয়া

রোজা ভঙ্গের কারন কয়টি এই সাতটি বিষয়ের বাইরেও আরো কিছু আনুষঙ্গিক বিষয় রয়েছে। যেমন আমরা অনেকেই ধূমপান করে থাকি। এক্ষেত্রে রোজা থাকা অবস্থায় কখনো ধূমপান করা যাবে না।

এছাড়া শরীরের কোন স্থান থেকে রক্ত বের হলে। অর্থাৎ নাক বা কান দিয়ে বা শরীরের কোথাও কাটা গেলে সেদিনের রোজাটি আপনার নষ্ট হয়ে যাবে। এছাড়া মুখে পানি নিয়ে ঘুমিয়ে পড়া। শক্ত খাবার যেমন কাঠ,  কয়লা, কাচ, লোহা, পাথর ইত্যাদি মুখে নিয়ে রাখা যাবে না। দাঁত দিয়ে রক্ত বের হলে মনে রাখবেন আপনার রোজাটি ভঙ্গ হয়েছে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রোজা থাকা অবস্থায় ওযু করার সময় যদি নাক ও মুখ দিয়ে কণ্ঠনালী হয়ে পানি খাদ্যনালীতে পৌঁছায় তাহলে বুঝতে হবে আপনার রোজাটি ভঙ্গ হয়েছে। সূর্যাস্তের আগে ইফতার করা যাবে না।

উপরে উল্লেখিত বিষয়গুল রমজান মাসে কখনোই করা যাবে না। আর যদি কোন কারণে এই বিষয়গুলো আপনি অনুসরণ করেন বা হয়ে যায় তাহলে আপনাকে অবশ্যই পবিত্র হতে হবে এবং রোজার সময়ের আগ মুহূর্তেই আপনি পাক পবিত্র হয়ে সেহেরি খেয়ে নেবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top