পহেলা বৈশাখ নিয়ে উক্তি ও ক্যাপশন (Pohela Boishakh Status 2024)

সম্মানিত পাঠক, এই নিবন্ধে আমরা পহেলা বৈশাখের উক্তি নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। আপনি যদি পহেলা বৈশাখের উক্তি অনলাইন অনুসন্ধান করেন তাহলে এই নিবন্ধ হতে পহেলা বৈশাখের উক্তি সংগ্রহ করতে পারবেন।

Pohela Boishakh Status

আমরা আপনাদের জন্য পহেলা বৈশাখের উক্তির সংগ্রহ করে দিয়েছি। অত্যন্ত যত্নসহকারে আমরা পৃথিবীর বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গের পহেলা বৈশাখ নিয়ে উক্তি গুলো এই নিবন্ধে একত্রিত করেছি। আপনি চাইলে একসঙ্গে পহেলা বৈশাখের উক্তিগুলো এই নিবন্ধ হতে সংগ্রহ করতে পারবেন। আশা করি পহেলা বৈশাখ নিয়ে উক্তি গুলো আপনাদের পছন্দ হবে এবং আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী এই উক্তিগুলো ব্যবহার করতে পারবেন।

Bangla পহেলা বৈশাখ ২০২৪

পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির এক অসাম্প্রদায়িক এবং সবচেয়ে বড় সামাজিক অনুষ্ঠান। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন টিকে পহেলা বৈশাখ বলা হয়। এদিন পুরাতন কে পিছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় শুরু করা হয়।

প্রত্যেক বাঙালির ঘরে ঘরে এদিন ভালো খাবার দাবারের ব্যাবস্থা করা হয় এবং নানান ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে দিনটিকে পালন করা হয়। এই দিনটি উপলক্ষে রমনার বটমূলে সারাদিনব্যাপী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট সহযোগিতা মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। ২০১৬ সালে ইউনেস্কো মঙ্গল শোভাযাত্রা কে “মানবতার অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য” হিসেবে ঘোষণা করে।

মোগল সম্রাট আকবরের সময় কাল থেকে পহেলা বৈশাখ পালনের সূচনা হয়। ওই সময় মোগল সম্রাটগণ ফসল হিসেবে এক নতুন সালের প্রত্যাবর্তন করেন। ফসলি সালেই পরবর্তীতে বাংলা সাল হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। পহেলা বৈশাখের দিন অর্থাৎ প্রথম দিন তাদের যাবতীয় খাজনা পরিশোধ করে নেয়। এ উপলক্ষে মোগল সম্রাটগণ প্রজাদের বিভিন্ন রকম ভাবে আপ্যায়ন করেন। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এ থেকেই মূলত পহেলা বৈশাখের উৎপত্তি। এভাবে ক্রমেই পহেলা বৈশাখ পহেলা বাঙালি জাতির জন্য সবচেয়ে বড় সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয়।

পহেলা বৈশাখ নিয়ে উক্তি ২০২৪

পহেলা বৈশাখ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, কবি-সাহিত্যিকদের মনে এক গভীর আবেগ অনুভূতির জন্ম দিয়েছিল। এ জন্য কবি সাহিত্যিকগণ পহেলা বৈশাখ নিয়ে বিখ্যাত বিখ্যাত কিছু উক্তি দিয়ে গেছে। আমরা এই নিবন্ধে পহেলা বৈশাখের সেই সকল বিখ্যাত উক্তি আপনাদের জন্য তুলে ধরব। আপনারা চাইলে আমাদের এই নিবন্ধ হতে পহেলা বৈশাখের সেই সকল উক্তি দেখে নিতে পারবেন।

চৈত্রে দিয়া মাটি বৈশাখে কর পরিপাটি।
– ক্ষণা

চৈত্র মাটি নববর্ষ খনার বচন বাঙালি বৈশাখ ক্ষণার বচন পহেলা বৈশাখ

চৈত্রে চালিতা, বৈশাখে নালিতা, আষাড়ে……… ভাদ্রে তালের পিঠা। আর্শ্বিনে ওল, কার্তিকে কৈয়ের ঝুল
– ক্ষণা

নববর্ষ খনার বচন বাঙালি বৈশাখ ক্ষণার বচন পহেলা বৈশাখ পিঠা

চৈত্রেতে থর থর বৈশাখেতে ঝড় পাথর জ্যৈষ্ঠতে তারা ফুটে তবে জানবে বর্ষা বটে।
– ক্ষণা

সুপ্রভাত নববর্ষ বর্ষা খনার বচন বাঙালি বৈশাখ ক্ষণার বচন পহেলা বৈশাখ

চৈতে গিমা তিতা, বৈশাখে নালিতা মিঠা, জ্যৈষ্ঠে অমৃতফল আষাঢ়ে খৈ, শায়নে দৈ। ভাদরে তালের পিঠা, আশ্বিনে শশা মিঠা, কার্তিকে খৈলসার ঝোল, অগ্রাণে ওল। পৌষে কাঞ্ছি, মাঘে তেল, ফাল্গুনে পাকা বেল।
– ক্ষণা

মাঘে মুখী, ফাল্গুনে চুখি, চৈতে লতা, বৈশাখে পাতা।
– ক্ষণা

শুনরে বেটা চাষার পো, বৈশাখ জ্যৈষ্ঠে হলুদ রো। আষাঢ় শাওনে নিড়িয়ে মাটি,ভাদরে নিড়িয়ে করবে খাঁটি। হলুদ রোলে অপর কালে, সব চেষ্টা যায় বিফলে।
– ক্ষণা

বৈশাখের প্রথম জলে, আশুধান দ্বিগুণ ফলে।
– ক্ষণা

পৌষের কুয়া বৈশাখের ফল। য’দ্দিন কুয়া ত’দ্দিন জল। শনিতে সাত মঙ্গলে/(বুধ) তিন। আর সব দিন দিন
– ক্ষণা

এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে, বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে যাওয়া গীতি, অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক। মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বছর ঘুরে এলো আরেক প্রভাতী ফিরে এলো সুরের মঞ্জুরী পলাশ শিমুল গাছে লেগেছে আগুন এ বুঝি বৈশাখ এলেই শুনি মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে বাসন্তী রঙ শাড়ী পরে ললনারা হেটে যায়
– মাকসুদ

হে ভৈরব, হে রুদ্র বৈশাখ! ধুলায় ধূসর রুক্ষ উড্ডীন পিঙ্গল জটাজাল, তপঃক্লিষ্ট তপ্ত তনু, মুখে তুলি বিষাণ ভয়াল কারে দাও ডাক হে ভৈরব, হে রুদ্র বৈশাখ!
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

দিন চলে যায় ঋতুর খেয়ায়, আসে ও যায় বছর মাস কারো কাটে কষ্টে আবার কেউ বা করে সুখেই বাস বদল খেলায় রঙিন আলোয় সুবজ পাতায় লাগে দোল বছর ঘুরে বোশেখ আসে একতারা ও বাজে ঢোল।
– শাহানারা রশিদ

ফিরে ফিরে বারবার সে এসেছে প্রতিটি বারে সেই সে নবীন পহেলা বৈশাখ… শুভকামনায় নববর্ষ রঙিন
– সংগৃহীত

এখন আমার জেগে ওঠার সময় এখন আমার সময় পথে নামার এখন সময় নতুন সূর্যের.. এখন সময় পূর্বপানে চাওয়ার
– সংগৃহীত

শোনা যায় ভোরের আযান আর কোকিলের কলতান আর ফেসবুকে জ্বল-জ্বলন্ত নববর্ষের জয়গান
– সংগৃহীত

কী যে খুঁজি, নিজেই পাই না বুঝে হেলায় ভুলে, খেয়াল খুলে দেয়াল মরি জুঝে। আমার দিন কেটে যায় খুঁজে!
– সংগৃহীত

অপেক্ষা – একটি রাত্রিশেষের অপেক্ষা – একটি সূর্যোদয়ের আকাঙ্ক্ষা – চিরন্তন নতুনত্বের সময় যখন – একটি নববর্ষের
– সংগৃহীত

এক হালি ইলিশের দাম ৪০ হাজার টাকা। গ্রামের মৃৎশিল্পীর পণ্য, বাঁশ ও বেতশিল্পীর কাজ, বিন্নি ধানের খই, সাজ-বাতাসার ব্যবসায়ীদের কী হবে? নিজেকে গ্রাম্য ও রক্ষণশীল পরিচয় দিতে আমার লজ্জা নেই। বৈশাখী মেলায় ঘুরে কেনাকাটার যে আনন্দ ‘হোম ডেলিভারি’তে কি তার চেয়ে বেশি সুখ?
– সৈয়দ আবুল মকসুদ

“আনন্দে আতঙ্কে নিশি নন্দনে উল্লাসে গরজিয়া মত্ত হাহা রবে ঝার সঞ্জীব বাধ উন্মাদিনী কালবৈশাখীর নৃত্য হোক তবে ।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

পহেলা বৈশাখ নিয়ে ক্যাপশন ২০২৪

পহেলা বৈশাখের দিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়ে আপনার সেল ফোনে ধারণ করা ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শেয়ার দিয়ে আপনি আমাদের নিচের অপশনগুলো ব্যবহার করতে পারবেন। পৃথিবীর বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গের অমূল্য কথাগুলো আপনার ছবির ক্যাপশন হিসেবে সভা পেলে আশাকরি মন্দ হবে না।

বৈশাখি মেঘ ঢেকেছে আকাশ, পালকের পাখি নীড়ে ফিরে যায় ভাষাহীন এই নির্বাক চোখ আর কতোদিন? নীল অভিমান পুড়ে একা আর কতোটা জীবন? কতোটা জীবন!!
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি, আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ। মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক॥
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বৈশাখ হে, মৌনী তাপস, কোন্ অতলের বাণী এমন কোথায় খুঁজে পেলে। তপ্ত ভালের দীপ্তি ঢাকি মন্থর মেঘখানি এল গভীর ছায়া ফেলে॥
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

রুদ্রতপের সিদ্ধি এ কি ওই-যে তোমার বক্ষে দেখি, ওরই লাগি আসন পাতো হোমহুতাশন জ্বেলে॥ নিঠুর, তুমি তাকিয়েছিলে মৃত্যুক্ষুধার মতো তোমার রক্তনয়ন মেলে।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ঈশানের পুঞ্জমেঘ অন্ধবেগে ধেয়ে চলে আসে বাধাবন্ধহারা গ্রামান্তরে বেণুকুঞ্জে নীলাঞ্জনছায়া সঞ্চারিয়া হানি দীর্ঘধারা। বর্ষ হয়ে আসে শেষ, দিন হয়ে এল সমাপন, চৈত্র অবসান– গাহিতে চাহিছে হিয়া পুরাতন ক্লান্ত বরষের সর্বশেষ গান।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ভীষণ, তোমার প্রলয়সাধন প্রাণের বাঁধন যত যেন হানবে অবহেলে। হঠাৎ তোমার কণ্ঠে এ যে আশার ভাষা উঠল বেজে, দিলে তরুণ শ্যামল রূপে করুণ সুধা ঢেলে॥
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ধূসরপাংশুল মাঠ, ধেনুগণ যায় ঊর্ধ্বমুখে, ছুটে চলে চাষি। ত্বরিতে নামায় পাল নদীপথে ত্রস্ত তরী যত তীরপ্রান্তে আসি। পশ্চিমে বিচ্ছিন্ন মেঘে সায়াহ্নের পিঙ্গল আভাস রাঙাইছে আঁখি– বিদ্যুৎ-বিদীর্ণ শূন্যে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে চলে যায় উৎকণ্ঠিত পাখি।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বীণাতন্ত্রে হানো হানো খরতর ঝংকারঝঞ্ঝনা, তোলো উচ্চসুর। হৃদয় নির্দয়ঘাতে ঝর্ঝরিয়া ঝরিয়া পড়ুক প্রবল প্রচুর। ধাও গান, প্রাণভরা ঝড়ের মতন ঊর্ধ্ববেগে অনন্ত আকাশে। উড়ে যাক, দূরে যাক বিবর্ণ বিশীর্ণ জীর্ণ পাতা বিপুল নিশ্বাসে।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আনন্দে আতঙ্ক মিশি, ক্রন্দনে উল্লাসে গরজিয়া মত্ত হাহারবে ঝঞ্ঝার মঞ্জীর বাঁধি উন্মাদিনী কালবৈশাখীর নৃত্য হোক তবে। ছন্দে ছন্দে পদে পদে অঞ্চলের আবর্ত-আঘাতে উড়ে হোক ক্ষয় ধূলিসম তৃণসম পুরাতন বৎসরের যত নিষ্ফল সঞ্চয়।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

মুক্ত করি দিনু দ্বার– আকাশের যত বৃষ্টিঝড় আয় মোর বুকে, শঙ্খের মতন তুলি একটি ফুৎকার হানি দাও হৃদয়ের মুখে। বিজয়গর্জনস্বনে অভ্রভেদ করিয়া উঠুক মঙ্গলনির্ঘোষ, জাগায়ে জাগ্রত চিত্তে মুনিসম উলঙ্গ নির্মল কঠিন সন্তোষ।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top